ভোটকেন্দ্রের বাইরে থেকে প্রার্থীর স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

বগুড়া জেলার মানচিত্র

বগুড়ার শেরপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের বাইরে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থীর স্বামীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার আধা ঘণ্টা পর ওই প্রার্থীর স্বামী হালিম মল্লিককে (৩৮) পুলিশ উদ্ধার করেছে। তাঁর বাড়ি উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ছোনকা এলাকায়। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন উপজেলার গোয়ালজানি গ্রামের মো. ফেরদৌস জামান (৪০), মো. আল আমিন (৩৫) ও মো. হুমায়ূন।

তাঁদের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন শেরপুর থানা-পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা একটার দিকে শেরপুর শহরের উলিপুর এলাকার একটি ফাঁকা জায়গা থেকে হালিম মল্লিককে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ছয়জনকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় আটক করা হয়। তাঁরা এখন শেরপুর থানা-পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

আটক আল আমিনের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, হালিম মল্লিক পাওনা টাকা না দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে এলাকা ছাড়া হয়েছেন। ভোটকেন্দ্রে তাঁকে দেখতে পেয়ে হালিম মল্লিককে অন্যত্র ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

ভুক্তভোগী হালিম মল্লিক বলেন, তাঁর স্ত্রী সুইটি মল্লিক বগুড়ার জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের কেন্দ্র ছিল শেরপুর শহীদিয়া আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসা। ভোট গ্রহণ চলাকালে তিনি দুপুর সাড়ে ১২টায় এই কেন্দ্রের বাইরে সড়কের পাশে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় আটক ব্যক্তিরা তাঁকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান।

হালিম মল্লিক আরও বলেন, ব্যবসার কারণে তাঁর কাছ থেকে ৫ জন ব্যক্তি ৭৫ হাজার টাকা পান। এই টাকা তিনি তাঁদের দিতেও চেয়েছেন। তবু ভোট গ্রহণ চলাকালে তাঁকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে তাঁর সামাজিকভাবে সম্মানহানি করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

এদিকে আটক আল আমিনের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, হালিম মল্লিক পাওনা টাকা না দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে এলাকা ছাড়া হয়েছেন। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ভোটকেন্দ্রে তাঁকে দেখতে পেয়ে হালিম মল্লিককে অন্যত্র ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, যাঁরা হালিম মল্লিককে ভোটকেন্দ্র থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের সবাই থানা-পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনা নিয়ে আজ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।