সুনামগঞ্জ সদরে এজেন্ট নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধের দাবি

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বুলচান্দ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়া নিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল হুদার (ডানে) বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায়ছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বুলচান্দ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধের দাবি জানান চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা।

কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, ভোট গ্রহণ শুরুর দুই ঘণ্টা পরে কয়েকজন যুবক এসে কেন্দ্রের একটি কক্ষে ঢুকতে চান। তাঁরা নিজেদের চেয়ারম্যান প্রাথী খায়রুল হুদার মোটরসাইকেল প্রতীকের এজেন্ট বলে জানান। তাঁদের কাগজে এজেন্ট হিসেবে মহিলা ভোটারের কক্ষের দায়িত্বের কথা উল্লেখ থাকলেও তাঁরা পুরুষ কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ায় তিনি তাঁদের ঢুকতে বাধা দেন। এ নিয়ে ওই যুবকেরা তর্কাতর্কি শুরু করেন। পরে চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল হুদা সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল হুদা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে অসহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ করেন। তিনি ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধেরও দাবি জানান।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, ‘আমি নিয়মের বাইরে কিছুই করিনি। এটি উনাকে (খায়রুল হুদা) বোঝাতে চেয়েছি। তিনি বুঝতে চাননি।’

এ বিষয়ে খায়রুল হুদা বলেন, ‘এখানে কারচুপির উদ্দেশ্যে আমার এজেন্টের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অসহযোগিতা ও পক্ষপাত করেছেন। আমি এখানে ভোট গ্রহণ বন্ধের দাবি জানিয়েছি।’

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) মনীষ কান্তি দে এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপসাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বী।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার ২ লাখ ২৮ হাজার ৫৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯১ ও নারী ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার ৭৪১ জন। হিজড়া একজন। উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ৭৮টি।