বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ৭ দফা দাবিতে চা-শ্রমিকদের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

চা-শ্রমিকেরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করায় দুই প্রান্তে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। শনিবার উপজেলার রোকনপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে
ছবি: প্রথম আলো

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমাম-বাওয়ানী বাগনের চা-শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন পরিশোধসহ সাত দফা দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রোকনপুর এলাকায় মহাসড়কটি তাঁরা প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কের কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

বিক্ষুব্ধ চা-শ্রমিকেরা বলেন, ইমাম-বাওয়ানী চা-বাগানে ৬০০ শ্রমিকের দুই বছরের বেতন বকেয়া পড়েছে প্রায় ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও তাঁদের বকেয়া পরিশোধ করা হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে শ্রমচুক্তি অনুযায়ী, বকেয়া বেতন পরিশোধ, উৎসব ভাতা, শ্রমিকদের চিকিৎসা ও নতুন ঘরবাড়ি তৈরিসহ সাত দফা দাবিতে তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করেন।

মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান শাহরিয়ার ও নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা চা-শ্রমিকদের মহাসড়ক ছেড়ে আলোচনায় বসতে অনুরোধ করেন। ইউএনও আগামীকাল রোববার এ বিষয়ে চা-বাগানের মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন এবং শ্রমিকদের মধ্যে সরকারি চাল বিতরণের আশ্বাস দিলে তাঁরা ঘণ্টাখানেক পর অবরোধ তুলে নেন।

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের বালিসিরা ভ্যালির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দাস বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে আমরা বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আজ সাত দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করি। নবীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আমাদের দাবিদাওয়া নিয়ে তিনি চা-বাগান কর্তৃপক্ষ ও সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা করবেন। যে কারণে তাঁর সম্মানে ও প্রশাসনের অনুরোধে মহাসড়ক থেকে আমরা উঠে এসেছি।’