ধর্মপাশা ও মধ্যনগর গ্রামের বেশির ভাগ সড়ক পানির নিচে, প্লাবিত পাঁচটি বিদ্যালয়

ধর্মপাশার ফজলুল হক সেলবর্ষী সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পানি মাড়িয়ে হেঁটে চলাচল করছেন লোকজন। আজ বুধবার বিকেলেছবি: সালেহ আহমদ

দুই দিনের অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দুই উপজেলার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষ বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে এমন পরিস্থিতির কথা জানা যায়। বড় বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

ধর্মপাশা উপজেলার মাইজবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. শওকত আলী ও মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর বাজারের বাসিন্দা সংস্কৃতিকর্মী আলা উদ্দিন জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে এখানকার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। যেভাবে ঢলের পানি বাড়ছে এবং দুই দিন অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

ধর্মপাশা ও মধ্যনগর প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় ১২২ হেক্টর সবজিখেতের মধ্যে ৭ হেক্টর সবজিখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। দুই উপজেলায় ১৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে কায়েতকান্দা, আলমপুর দোয়াদুর রহমান, দক্ষিণ রূপনগর, রাজধরপুর ও কাকিয়াম মৌলভীপাড়া—এই পাঁচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে।

স্থানীয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক রাসেল মিয়া বলেন, ঢলের পানিতে সড়ক তলিয়ে গেছে। গাড়ি নিয়ে বের হতে পারছেন না। দুই দিন ধরে খুব কষ্টের মধ্যে আছেন। দিনমজুর ইয়াছিন মিয়া বলেন, ‘কামে গেলে খাওন জুটে। বৃষ্টির লাইগা ঘর থাইকাই বাইর অইতাম ফারতাছি না। কিবায় যে কিতা অইব, তা আল্লাহই জানে।’

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন ও মধ্যনগরের ইউএনও অতীশ দর্শী চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দুই উপজেলার সব কটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তত রাখা হয়েছে। বন্যা হলে তা মোাকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।