সিলেটে পিকআপের সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬

সড়ক দুর্ঘটনায় লেগুনাটি দুমড়েমুচড়ে গেছে। আজ সিলেট-তামা‌বিল আঞ্চ‌লিক সড়কের দরবস্ত পল্লী বিদ‌্যুৎ কার্যালয়ের সামনেছবি: প্রথম আলো

সিলেটে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৬–এ দাঁড়িয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একই পরিবারের মা-মেয়েসহ তিনজন আছেন। আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল আঞ্চলিক সড়কের দরবস্ত পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয় মাস বয়সী শিশুকে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ দুর্ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

নিহত ছয়জন হলেন জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামের সন্তোষ পাত্রের স্ত্রী মঙ্গলী পাত্র (৫০), পুত্রবধূ সুচিতা পাত্র (৩০), নাতনি বিজলী পাত্র (৬ মাস), একই গ্রামের নন্দ পাত্রের স্ত্রী সাবিত্রী পাত্র (৩৫), সুবেন্দ্র পাত্রের মেয়ে ঋতু পাত্র (৮) ও নিপেন্দ্র পাত্রের স্ত্রী শ্যামলা পাত্র (৫৫)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জৈন্তাপুরের চিকনাগুল থেকে পাঁচটি লেগুনায় করে পারিবারিক অনুষ্ঠানে মোকামপুঞ্জির দিকে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। অন্যদিকে জৈন্তাপুরের দরবস্ত বাজার থেকে গরু কিনে হরিপুরের দিকে যাচ্ছিল একটি পিকআপ ভ্যান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দুটি গাড়ি দরবস্ত এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় লেগুনাটির একদিকের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে লেগুনায় থাকা যাত্রীরা আহত হন।

এদিকে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে ওসি বিক্ষুব্ধ লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।

ওসি তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লেগুনা, গরুসহ একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। নিহত পাঁচজনের মরদেহ সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ছয় মাসের শিশুটির মরদেহ বাড়িতে রয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।