মেহেরপুরে থানার পাশে বিস্ফোরণে শিশুর কবজি ক্ষতবিক্ষত, আহত আরও একজন

প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশু সাঈদ হোসেনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে
ছবি: প্রথম আলো

মেহেরপুর সদর থানা এলাকায় মসজিদের পাশে একটি ককটেলসদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণে ১১ বছর বয়সী দুই শিশু আহত হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে ওই দুই শিশু ককটেলসদৃশ বস্তুটিকে একটি ইটের ওপরে রেখে আরেকটি ইট দিয়ে আঘাত করলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিস্ফোরণে ডান হাতের কবজি ক্ষতবিক্ষতসহ গুরুতর আহত সাঈদ হোসেন নামে এক শিশুকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে শহরের থানাপাড়ার নাসিম উদ্দিনের ছেলে। আহত অপর শিশু রুবেল মেহেরপুর সদরের গোভিপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ জানায়, থানা এলাকার মসজিদের পাশে কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলসদৃশ বস্তুটি পড়ে ছিল। সাইদ ও রুবেল নামে ওই দুই শিশু বস্তুটি নিয়ে খেলছিল। তারা কালো টেপ ছাড়িয়ে সেটি একটি ইটের ওপরে রেখে আরও একটি ইট দিয়ে আঘাত করলে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই সাইদ হোসেনের ডান হাতের কবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডান পা–সহ শরীরের অন্যান্য অংশেও গুরুতর জখম হয়। অপর শিশু রুবেল মিয়া আঘাতপ্রাপ্ত হয়। বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে দ্রুত পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।

আহত শিশুদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা অমৃত সরকার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সাইদ হোসেনের ডান হাতের কবজি পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমল হোসাইন বলেন, সকালে শিশুরা খেলতে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলসদৃশ বস্তুটি দেখতে পায়। প্লাস্টিকের টেপ ছাড়িয়ে ইট দিয়ে আঘাত করতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় বোমার কাছে থাকা দুই শিশু আহত হয়। ইতিমধ্যে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।