পল্লিচিকিৎসকের ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু, পাশে পড়ে ছিল মোটরসাইকেল-টুপি-স্যান্ডেল

চুয়াডাঙ্গা জেলার মানচিত্র

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় তহিদুল ইসলাম (৪০) নামের এক পল্লিচিকিৎসকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের ডম্বলপুর-মাধবপুর সেতুর রেলিং থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাশে পড়ে ছিল ওই চিকিৎসকের মোটরসাইকেল, মাথার টুপি ও পায়ের স্যান্ডেল। পুলিশ বলছে, তাঁর মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক।

নিহত তহিদুল ইসলাম উপজেলার ডম্বলপুর গ্রামের মকবুল হোসেন মণ্ডলের ছেলে। তাঁর দুই মেয়ে ও একটি ছেলেসন্তান আছে। পল্লিচিকিৎসক হিসেবে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ প্রথম আলোকে বলেন, পল্লিচিকিৎসক তহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। আজ বিকেল পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটি নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বিউটি খাতুন ও বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস পুলিশকে জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের শ্রীনগর দরবার শরিফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)–এর অনুষ্ঠান শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার পর বাড়িতে আসেন তহিদুল। রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে যান। স্ত্রী বিউটি খাতুন রাতের খাবার খেয়ে যেতে বললে তিনি জানান, দরবার শরিফ থেকে তবারক খেয়ে এসেছেন, তাই রাতে খাবেন না। স্ত্রী-সন্তানদের ঘুমিয়ে পড়তে বলেন এবং বাড়ি ফিরে তিনি তাঁদের ডেকে তুলবেন বলে জানান।

এদিকে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িতে না ফিরলে তহিদুলের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর সকালে খবর পান, ডম্বলপুর-মাধবপুর সেতুর রেলিংয়ে তহিদুলের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলের পাশেই মৃতের মোটরসাইকেল, মাথার টুপি ও পায়ের স্যান্ডেল পড়ে ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তহিদুল ইসলাম খুবই সাদামাটা মানুষ ছিলেন। পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশির ভাগের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে।