ঝিনাইদহে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ঝিনাইদহে যুবদল নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে থানার সামনে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় সড়কে বসে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। শুক্রবার সকালে সদর থানার সামনে
ছবি: প্রথম আলো

ঝিনাইদহ জেলা যুবদলের সদস্য লিটন মণ্ডলকে (৩৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে আজ শুক্রবার সকালে শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

আহত লিটন মণ্ডল জেলা সদরের বাড়িবাথান গ্রামের রেজাউল মণ্ডলের ছেলে এবং পাগলাকানাই ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঝিনাইদহে ও পরে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হামলার প্রতিবাদে ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাঁরা ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়ক ধরে শহরের পায়রা চত্বরের দিকে এগিয়ে গেলে থানার সামনে পৌঁছানোর পর পুলিশ বাধা দেয়। বাধা পেয়ে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর বসে পড়েন। পরে থানার সামনে ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কের ওপর বসে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা। সমাবেশ থেকে দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া রাতেই শহরের হামদহ এলাকায় এক দফা বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা।

প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান, জেলা যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, লিটনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। হামলাকারীরা মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। তাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এলাকাবাসী জানান, গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন লিটন। পথে পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌঁছানোর পর সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা কয়েকজন সন্ত্রাসী তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জেসমিন সুলতানা বলেন, লিটনের ডান হাত পুরোটা এবং বাঁ হাতের বেশির ভাগ অংশ কাটা পড়েছে। এ ছাড়া দুই পা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত আছে। শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে তাঁকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। এটা মূলত স্থানীয় সামাজিক বিরোধের কারণে ঘটেছে। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুজনকে আটক করেছেন। এ ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা করতে আসেননি।