মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া, বাবা হত্যা করলেন মেয়ের বান্ধবীকে: পুলিশ

ফেহা আক্তার
ফাইল ছবি

সমবয়সী দুই শিশুর মারামারির জের ধরে খুন করা হয়েছে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সাত বছরের শিশু ফেহা আক্তারকে। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক মিজানুর রহমান (৩৮) ও তাঁর বাবা আবদুস সাত্তারের (৭০) প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে চাটখিল উপজেলার গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের জসড়া গ্রামের পুকুরের পাড় থেকে ফেহা আক্তারের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন ফেহার বাবা ফারুক হোসেন।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তের একপর্যায়ে তাঁরা জানতে পারেন ফেহা আক্তার তার সমবয়সী প্রতিবেশী তানহার সঙ্গে খেলাধুলা করত। ১০-১২ দিন আগে খেলার সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয়। এতে তানহা আঘাত পায়। তানহার মা–বাবা ফেহার মায়ের কাছে এ বিষয়ে নালিশ জানান। এ তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে সন্দেহভাজন হিসেবে মিজানুর রহমান ও তাঁর বাবা আবদুস সাত্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বলেন, তাঁদের মেয়েকে আঘাত করায় শিশু ফেহা আক্তারের প্রতি ক্ষোভ ছিল। গত রোববার দুপুরে ফেহা আক্তারকে কৌশলে ডেকে নিয়ে পুকুর পাড়ে মাথায় আঘাত করেন তাঁরা। এতে সে মারা যায়। পরে সেখানে লাশ ফেলে রেখে চলে আসেন তাঁরা।

থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, আজ বিকেলের দিকে মিজানুর রহমান ও তাঁর বাবা আবদুস সাত্তারকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।