দেশে নারী উন্নয়ন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, নারীরা একই সঙ্গে অনেক রকমের কাজ করার সক্ষমতা রাখে। তাঁদের এসব গুণ সংসারের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও কাজে লাগানো যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর রোটারি ভবন মিলনায়তনে চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে চার দিনব্যাপী উদ্যোক্তা মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
দীপু মনি বলেন, ‘প্রত্যেক নারীকে স্বাবলম্বী করে তুলতে তাঁর চেষ্টা বা ইচ্ছেটাই বড় ব্যাপার। কারণ, নারীদের নিজস্ব একটা জগৎ রয়েছে। আমরা চাই সব নারী ঘরের পুরুষদের সহযোহিতা নিয়ে নিজ সংসার, সন্তান ও দেশের জন্য এগিয়ে আসবে। এ জন্য সরকারও রয়েছে তাঁদের সব ধরনের সহায়তা দিতে। আজকে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানে সব রকমের ব্যবস্থা রয়েছে। যাতে প্রতিটি নারী দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।’
এ সময় চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরা আক্তারের সভাপতিত্বে ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পাপড়ি বর্মণের সঞ্চালনায় অন্যান্য নারী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গত বুধবার ১৬টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে শুরু হয় এই মেলা। এসব প্রতিষ্ঠানের স্টলগুলোতে রয়েছে নানা ধরনের পণ্য। শিক্ষামন্ত্রী আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন। এর আগে তিনি জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের বাসভবনে ঢাকা উত্তরা রোটারি ক্লাব আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
দীপু মনি বলেন, ‘একটি সুন্দর পৃথিবীর গড়তে নারী-পুরুষের সমান ভূমিকা রয়েছে। এজন্য নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর বরতে হবে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নারী-পুরুষসহ সকল মানুষের বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন। তিনি আমৃত্যু শোষণ- বঞ্চনাহীন একটি বাংলাদেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশে সকল অগ্রগতি-অগ্রযাত্রার নারীরা অনন্য ভূমিকা রাখছে।’
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যেটা নারী ছাড়া হয়। নারীদের জড়তার জায়গাটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নারীদেরকে হাত ধরে এগিয়ে দিয়েছেন একজন নারী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। এ জন্য নারীকে তার যোগ্যাতায় নিজের জায়গা করে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত নারী আমনের এমপি সৈয়দা রুবিনা মিরা, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান প্রমুখ।