রংপুরে পিটুনিতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হওয়ার ঘটনার মামলা প্রত্যাহারের দাবি সমন্বয়কদের

মামলাপ্রতীকী ছবি

রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায় নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর স্ত্রীর দায়ের করা হত্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত নয়টার দিকে মহানগর কোতোয়ালি থানার সামনে এই দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক ও কর্মীরা।

এ সময় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুরের সমন্বয়ক নাহিদ হাসান খন্দকার। তিনি বলেন, ৪ আগস্ট ছাত্র–জনতার ওপর সরাসরি গুলি চালান কাউন্সিলর হারাধন রায়। পরে ছাত্র–জনতার ধাওয়ায় তিনি নিহত হন। পুলিশ ছাত্র–জনতার ওপর হামলাকারী সেসব অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার না করে, তাঁদের দায়ের করা মামলা গ্রহণ করছে। হারাধন রায় পিটুনিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।

গত ৪ আগস্ট রংপুর নগরে আন্দোলন চলাকালে ছাত্র–জনতার ওপর গুলি চালানো হয়। ওই সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারাধন রায় পিটুনিতে নিহত হন। এ ঘটনায় ২ অক্টোবর নিহত হারাধন রায়ের স্ত্রী কণিকা রায় বাদী হয়ে মহানগর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ না হলেও অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান।

২ অক্টোবর মামলা করা হলেও গতকাল বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক ও কর্মীরা রাতে এর প্রতিবাদ জানান।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সায়ফুজ্জামান ফারুকী বলেন, এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলা হবে।