সিলেটে অবরোধ সমর্থনে সড়কে আগুন, ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার গাড়ি

সিলেট থেকে দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যায়নি। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের চিত্র
ছবি: আনিস মাহমুদ

বিএনপির চতুর্থ দফায় ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার সিলেটে সড়কে খড় ও প্লাস্টিকের ঝুড়ি ফেলে আগুন জ্বালানোর ঘটনা ঘটেছে। সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেট থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি।

প্রত‌্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের দ‌ক্ষিণ সুরমা মোগলাবাজার এলাকায় আজ ভোর পাঁচটার দিকে বাঁশ ফেলে প্লাস্টিকের ঝুড়ি ও খড়ে আগুন জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈ‌রি করেন অবরোধ সমর্থনকারী ব্যক্তিরা। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন ও বিক্ষোভ করেন। পরে সকাল আটটার দিকে একই সড়কের কটালপুর এলাকায় খড় ও বাঁশ ফেলে আগুন দেন একদল যুবক। খবর পেয়ে পু‌লিশ সেখানে গেলে অবরোধ সমর্থনকারী ব্যক্তিরা চলে যান।

এদিকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেট থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। নগরের ভেতর ও নগর থেকে বিভিন্ন প্রান্তের উদ্দেশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং প্রাইভেট কার চলাচল করছে, তবে তা স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কম। এ ছাড়া লেগুনা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।

নগরের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বাসের কাউন্টারগুলোয় তেমন যাত্রী দেখা যায়নি। কাউন্টার এলাকায় পরিবহনশ্রমিকদের খোশগল্প চোখে পড়ে। কিছু যাত্রী ছোট পরিবহনে ভেঙে ভেঙে দূর গন্তব্যে ছোটেন। নগরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে। টহল পুলিশও তৎপর ছিল।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেট মহানগর এলাকার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপ‌তি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, যত দিন দা‌বি আদায় হচ্ছে না, তত দিন তাঁরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চা‌লিয়ে যাবেন। তাঁদের কর্মসূচিতে জনসমর্থন আছে বলেই সফল হচ্ছে। তি‌নি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমাতে নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পাশাপাশি নির্যাতন চালানো হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের বা‌ড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।