রামুতে একসঙ্গে নিখোঁজ চার কিশোর, মানব পাচারকারীদের সন্দেহ পরিবারের
কক্সবাজারের রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়ার স্কুল ও মাদ্রাসাপড়ুয়া চার কিশোর দুই দিন ধরে নিখোঁজ। কিশোরেরা পরস্পর আত্মীয়। গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টার মধ্যে চার কিশোর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। আজ রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি।
পরিবারের লোকজন প্রথমে ধারণা করেছিল দল বেঁধে হয়তো কিশোরেরা কোথাও বেড়াতে গেছে। শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িতে খোঁজখবর নেওয়া হয়। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যদের ধারণা, মানবপাচারকারী কিংবা অপহরণ চক্রের কবলে পড়েছে কিশোরেরা।
নিখোঁজ কিশোরের একজনের বয়স ১৪ বছর, দুজনের ১৫ ও একজনের বয়স ১৬ বছর। এ ঘটনায় চার কিশোরের পরিবার গতকাল শনিবার রামু থানায় পৃথক চারটি নিখোঁজ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করে। ডায়েরিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা দেড়টার মধ্যে মণ্ডলপাড়া থেকে চার কিশোরের নিখোঁজ হওয়ার কথা বলা হলেও কেন নিখোঁজ তার উল্লেখ নেই।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৈয়বুর রহমান আজ বেলা পৌনে ১১টায় প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ চার কিশোরের সন্ধান মেলেনি। তবে ভোররাতে এক ব্যক্তি পুলিশকে জানান, কিশোরেরা কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার একটি ঘরে আছে। পুলিশ কিশোরদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে।
নিখোঁজ এক কিশোরের মামা প্রথম আলোকে বলেন, তারা একসঙ্গে কোথাও বেড়াতে গেছে বলে প্রথমে ধারণা করা হলেও দুই দিন ধরে নিখোঁজ থাকায় সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িতে গত দুই দিন খোঁজ নিয়ে হদিস পাওয়া যায়নি। চার কিশোর কারও প্রলোভনে পড়েছে কিংবা মানব পাচারকারীর খপ্পরে পড়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।