মন্ত্রী রেজাউলের চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে

রেজাউল করিম

পাঁচ বছরের ব্যবধানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সম্পদ বেড়েছে দেড় গুণের বেশি। আর তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে আড়াই গুণের বেশি।

একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া রেজাউল করিমের হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। রেজাউল করিম ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

শুরুতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এখন তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও তিনি একই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেজাউল করিমের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তাঁর স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এখন তাঁর স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকায়। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ২ দশমিক ৬৫ গুণের একটু বেশি।

হলফনামা ঘেঁটে দেখা যায়, প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেশি বেড়েছে অকৃষিজমিতে। ২০১৮ সালে তাঁর স্ত্রীর ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষিজমি ছিল। এখন ১ কোটি ৮৩ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষিজমি রয়েছে।

হলফনামায় স্ত্রীর পেশা উল্লেখ করেননি মন্ত্রী রেজাউল করিম। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রীর স্ত্রী লেখালেখি করেন।

এদিকে মন্ত্রী রেজাউল করিমের ২০১৮ সালে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মোট ৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার। এখন তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ সাত কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ মন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ১ দশমিক ৭৮ গুণ।

হলফনামা বলছে, মন্ত্রীর সম্পদও সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অকৃষিজমিতে। পাঁচ বছর আগে তাঁর প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষিজমি ছিল। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকার বেশি মূল্যের অকৃষিজমি।

এ ছাড়া তাঁর নগদ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ জমা, যানবাহন, ইলেকট্রিকসামগ্রী, আসবাব ও অন্যান্য (ব্যবসা ও পেশাগত মূলধন) অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। ‘মূল্য জানা না’ থাকায় সোনা, অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকারাদির পরিমাণ ও মূল্য—কোনোটাই তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি।

মোট সম্পদের পরিমাণ বাড়লেও বার্ষিক আয় কমেছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী রেজাউল করিম। তাতে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৭৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এখন তাঁর বার্ষিক আয় কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭ লাখ ১৫ হাজার টাকায়।