শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবির খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

খুলনা জেলার মানচিত্র

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগসংক্রান্ত জটিলতা সমাধানের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, ডিন ও বিভাগীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে কর্মবিরতি পালন করেছেন তাঁরা। আজ সোমবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি শুরু করা হয়।

শিক্ষকেরা নিয়োগ–সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানের পাশাপাশি ৩৯ শিক্ষকের পদোন্নতি নিশ্চিত করা ও তাঁদের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।

শিক্ষকেরা বলেন, সম্প্রতি অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বছরের ৩ আগস্ট দেওয়া ওই নির্দেশনার ব্যাপারে তদন্ত পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান শিক্ষকেরা। চলতি বছর পুনরায় তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে চলতি অক্টোবরের শুরু থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকেরা। ৮ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করেছেন। সর্বশেষ গতকাল রোববার শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় আজ সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক, ডিন ও বিভাগের কার্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই ঘোষণা অনুযায়ী নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দ্রুত তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে প্রশাসন ভবনেও তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষকেরা।

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুল আলম বলেন, পুনর্মূল্যায়ন কমিটি ৭৩ জনের ফাইল ও নিয়োগের বৈধতা যাচাই করেছে। দুই মাস ধরে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। এদিকে তাঁরা প্রতিনিয়ত সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছেন। এ সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১১ মাস স্থগিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন প্রভাষকের পদোন্নতি।

আরও পড়ুন

সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা তাঁদের সমস্যা আমলে নিচ্ছেন না। এ কারণে শিক্ষকেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে প্রশাসন ভবনে তালা ঝোলানোসহ আমরণ অনশন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি উত্তরণে বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয়ের পুনর্মূল্যায়নের কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আশা করছেন খুবই দ্রুত তা অনুমোদন হয়ে যাবে। দ্রুত সব সমস্যা নিরসনের জন্য তিনি চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন