বরিশালে হরতালের সমর্থনে বিএনপির মিছিল, আটক ৫

বরিশাল নগরের হাতেম আলী কলেজ এলাকায় হারতালের সমর্থনে নগর বিএনপির সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবিরের নেতৃত্বে মিছিল করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জনের লক্ষ্যে ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে বরিশালে ঝটিকা মিছিল করেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। গতকাল হরতালের সমর্থনে বের করা ওই মিছিল থেকে দুজন এবং বৃহস্পতিবার রাতে আরও তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে নগরের কবি জীবনানন্দ দাশ (বগুড়া রোড) সড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মিছিলে নেতা-কর্মীরা ৬ ও ৭ জানুয়ারির হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন সিকদারের নেতৃত্বে মিছিলটি বগুড়া রোডের কাজী অফিস এলাকা থেকে খামারবাড়ির সামনে গিয়ে শেষ করা হয়। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে মিছিলের শেষ মুহূর্তে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তকদিরুল ইসলাম ওরফে তন্ময় (২৩) ও আনিসুর রহমান ওরফে নয়ন (৪৫) নামের বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বৈদ্যপাড়া এলাকায় হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বের করার সময় জুম্মান হোসেন (৩৭), মো. নুরুন্নবী (৪৫) ও সোহেল হাওলাদার (৩৫) নামের তিন বিএনপির নেতা-কর্মীকে আটক করে।

বরিশাল নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের পাঁচজন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সরকারের দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে নগরের বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা হরতালের পক্ষে মিছিল-বিক্ষোব অব্যাহত রেখেছেন।’

বিএনপির পাঁচ কর্মীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, আটক পাঁচজনই কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের হওয়া আগের নাশকতা মামলার আসামি। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে।

বরিশাল মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার বাবুল প্রথম আলোকে বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ সরকারের এই পাতানো, একতরফা নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষ আজ একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন ও অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু সরকার এ দাবি অগ্রাহ্য করে দেশে একদলীয় ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম করে দমন-পীড়ন, নির্যাতন চালিয়ে জনগণের এ দাবিকে উপেক্ষা করতে চাইছে। আবারও একটি একতরফা নির্বাচন আয়োজন করে পুনরায় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার বন্দোবস্ত করতে চাইছে। কিন্তু ৭ জানুয়ারির এই পাতানো নির্বাচন ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে প্রত্যাখ্যান করবেন। একই সঙ্গে যতই দমন-পীড়ন, জেল-জুলুম চালানো হোক না কেন, এ আন্দোলন দমন করা যাবে না।