সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ ইসির

নির্বাচন কমিশনফাইল ছবি

নির্বাচনী জনসভায় ‘ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক আপত্তিকর’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম নবী হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জেলার ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হককে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

ইসির উপসচিব (আইন) মো. আবদুছ সালাম স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা গত সোমবার পেয়েছি। নির্দেশনা অনুযায়ী মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।’

ইসি থেকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ-১ আসনের (ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর) ধর্মপাশা উপজেলার গোলকপুর বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের (রতন) নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেন এম নবী হোসেন। সেখানে তিনি ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক আপত্তিকর বক্তব্য দেন। এর মাধ্যমে তিনি নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮–এর বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করার ব্যাপারে ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা এম নবী হোসেনের ওই বক্তব্যের পর সুনামগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ প্রবাল চক্রবর্তী তাঁকে সশরীর ৪ জানুয়ারি কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। নবী হোসেন ওই দিন কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান। পরে কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবেদন পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনে।

নবী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ওই দিন অন্য একজনের বক্তব্যের ব্যাখা দিতে গিয়ে তিনি যেসব কথা বলেছিলেন, সেগুলো তাঁর বলা উচিত হয়নি। তিনি এ জন্য অনুসন্ধান কমিটির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন এই আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। এবার তিনি নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। এবার এখানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রনজিত সরকার।