টাঙ্গুয়ার হাওরে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ট্যুরিজমে’ মনঃক্ষুণ্ন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর পরিদর্শনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আজ শনিবার সকালেছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গুয়ার হাওরে পরিদর্শনে এসে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন দেখে উদ্বেগ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওর দেখতে এলাম। এটি রামসার সাইট। দেখে মনঃক্ষুণ্ন হলাম। এখানে কিছুটা অনিয়ন্ত্রিত, দায়িত্বজ্ঞানহীন ট্যুরিজম আছে। অবৈধ জালের ব্যবহার আছে। এতে আমি উদ্বিগ্ন।’

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আজ শনিবার সকালে টাঙ্গুয়ার হাওর পরিদর্শনে আসেন। তিনি হাওর ঘুরে দেখেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি প্রথমে তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে যান। সেখান থেকে টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে যান সীমান্ত এলাকার টেকেরঘাটে।

আরও পড়ুন

টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘এখানে বড় বড় জাহাজ নিয়ে লোকজন আসেন। মানুষ চিপস খাচ্ছে, প্যাকেট পানিতে ফেলছে। এগুলোতে দূষণ হচ্ছে। মানুষ আসুক, আনন্দ করুক, তবে পরিবেশের ক্ষতি না করে।’

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আজ শনিবার সকালে টাঙ্গুয়ার হাওর পরিদর্শনে আসেন। তিনি হাওর ঘুরে দেখেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন
ছবি: প্রথম আলো

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার যাদুকাটা নদী হয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়ার সময় এলাকার একটি খালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কিছু লোককে মাছ ধরতে দেখেন। পরে তিনি ওই লোকদের আটক করার নির্দেশনা দেন। পুলিশ তখন পাঁচজনকে আটক করে।

আরও পড়ুন

হাওর পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টার সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিশাখার যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার শুক্রবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জে আসেন। সন্ধ্যা ছয়টায় সার্কিট হাউস মিলনায়তনে তিনি সুনামগঞ্জ জেলার মৎস্যসম্পদ রক্ষায় করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।