সিলেটের ছয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি

সিলেট জেলার মানচিত্র

সিলেটের বিশ্বনাথ ও জকিগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে সব কটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। বিশ্বনাথের পাঁচটি ইউপির মধ্যে দুটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী, দুটিতে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর ইউপির উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বনাথের অলংকারী ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আতিকুর রহমান জয়লাভ করেছেন। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি। ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৭২৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুল ইসলাম চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৪১ ভোট। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহ তাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৩৪ ভোট।

উপজেলার রামাপাশা ইউপি নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ইমাম উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৫ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৮০ ভোট। নৌকার প্রার্থী আরব আলী পেয়েছেন ১ হাজার ৫০৫ ভোট।

দৌলতপুর ইউপিতে বিজয়ী হয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আরব খান। তিনি চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৮৬৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াহাব আলী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৪১১ ভোট। বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী দয়াল উদ্দিন তালুকদার আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ৮৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এলাকায় ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পরিচিত। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল জলিল হিরন মিয়া নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২৮০ ভোট।

দেওকলস ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি (বিদ্রোহী প্রার্থী) ফখরুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামের নেতা আমীর হোসাইন মোহাম্মদ আক্তার স্বতন্ত্র হিসেবে চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৬ ভোট। আওয়ামী লীগের আবুল কালাম নৌকা প্রতীকে ১ হাজার ৯৫৭ ভোট পান।

এদিকে জকিগঞ্জের কসকনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সাত্তার মঈন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ১৫৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন আহমদ লস্কর আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহমদ চৌধুরী চশমা প্রতীকে ১ হাজার ৩৮৮ ভোট, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আফজল হোসেন নৌকা প্রতীকে ২৬৩ ভোট পান।

চলতি বছরের ৩০ মার্চ কসকনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের মৃত্যু হয়। চেয়ারম্যানের শূন্য পদে গতকাল উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।