ভোলা–লক্ষ্মীপুর নৌপথে তিন দিন পর ফেরি চলাচল শুরু

ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায়
ছবি : সংগৃহীত

তিন দিন বন্ধ থাকার পর ভোলা–লক্ষ্মীপুর নৌপথে আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ফেরি ‘কদম’ ভোলার ইলিশার একটি ফেরিঘাট থেকে গাড়ি বোঝাই করে লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীরহাট ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ খান প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে ঝড়ের সময় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ভোলার ইলিশার দুটি ফেরিঘাটের পন্টুন ও গ্যাংওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় দুই পাড়ে ভোলার ইলিশা ও লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট ঘাটে দুই শতাধিক গাড়ি আটকে যায়।  

ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক বলেন, বিআইডব্লিউটিএ তিন দিন পর লো-ওয়াটার ফেরিঘাটটির পন্টুন ও গ্যাংওয়ে ঠিক করে যথাস্থানে পুনঃস্থাপন করেছে। পরে শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় ‘কদম’ নামের ফেরি গাড়ি বোঝাই করে ছেড়ে গেছে। সর্বশেষ ‘কুসুমকলি’ নামে আরও একটি ফেরি গাড়ি ঝোঝাই করে ছেড়ে গেছে। তবে জোয়ারের সময় লো-ওয়াটার ঘাট ডুবে গেলে ফেরিতে গাড়ি ওঠানামা করতে পারবে না। তাই হাই-ওয়াটার ঘাটটিও দ্রুত সংস্কার করে পুনঃস্থাপন দরকার।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বরিশাল বিআইডব্লিউটএর একটি দল বুধবার ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুন-গ্যাংওয়ে পুনঃস্থাপন করতে আসে। সঙ্গে আসে দুটি টাগবোট। তিন দিন চেষ্টা করে শুক্রবার একটি ঘাট চালু করেছে। অন্য ঘাটটি কবে নাগাদ ঠিক করা যাবে, তা বোঝা যাচ্ছে না।  

ঘাটে আটকে পড়া মালবাহী ট্রাকচালকেরা বলেন, তাঁরা মালভর্তি গাড়ি নিয়ে গত সোম-মঙ্গলবার থেকে ঘাটে ফেরিতে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছেন। টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ঘাটের ছোটখাটো রেস্টুরেন্টে কষ্ট করে রাতযাপন করতে হচ্ছে। ঘাটে সরকারিভাবে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। বেসরকারিভাবে হোটেলে থাকার সুযোগ-সুবিধা আছে, তবে খরচ বেশি। প্রতিদিন তাঁদের এ জন্য মোটা টাকা খরচ করতে হচ্ছে। ঘাটে এক দিন বেশি থাকলেই হাজার টাকা বাড়তি খরচ। এ অবস্থায় ফেরিঘাটের দুটি ঘাটই চালু করা দরকার।

ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট সংস্কার করতে আসা বরিশাল বিভাগীয় নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. সেলিম বলেন, বুধবার সকাল থেকে একটি দল ঘটনাস্থলে (ভোলার ইলিশা) এসে পন্টুন-গ্যাংওয়ে পুনঃস্থাপনের প্রাথমিক কাজগুলো সম্পন্ন করেছে।

বিকেল নাগাদ বরিশাল থেকে টাগবোট এসে পৌঁছায়। আশা করেছিলেন, বৃহস্পতিবার নাগাদ একটি পন্টুন ও গ্যাংওয়ে পুনঃস্থাপন করে চালু করতে পারবেন। কিন্তু পন্টুনে কয়েকটি ফাটলসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার জন্য শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত একটি ঘাট চালু করতে পেরেছেন। হাই-ওয়াটার ঘাটটি কবে নাগাদ চালু হবে, বলা যাচ্ছে না। হাই-ওয়াটার ঘাটের গ্যাংওয়ে ঠিক হয়ে গেছে, পন্টুনের কাজ বাকি আছে।