ছাত্রলীগ নেতা তপু ছিনতাইকারী দলের নেতৃত্ব দেন: পুলিশ

গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা তপু চন্দ্র ঘোষ
ছবি: সংগৃহীত

এলাকায় পরিচিতি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে। কিন্তু নেতৃত্ব দিতেন একটি ছিনতাইকারী দলের। সম্প্রতি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে এক প্রবাসীর ১৭ লাখ টাকা ও মুঠোফোন ছিনতাইয়ের পর ৩ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ বলছে, এর আগেও ছিনতাই করেছেন তাঁরা।

গ্রেপ্তার ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম তপু চন্দ্র ঘোষ। তিনি সোনারগাঁয়ের অর্জুনদি গ্রামের সাধনচন্দ্র ঘোষের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান।

পুলিশ বলছে, গত ৪ এপ্রিল বন্দর উপজেলার হাজী সাহেবের মোড় থেকে উজ্জ্বল হোসেন নামের এক সৌদিপ্রবাসীর ১৭ লাখ টাকা ও মুঠোফোন ছিনতাই হয়। তপু ঘোষ আরও তিন সহযোগীকে নিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে ওই প্রবাসীর টাকা ও মুঠোফোন ছিনতাই করেছেন। ছিনতাইয়ের পর ওই প্রবাসীর করা একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এসব তথ্য পেয়েছে।

গত শনিবার তিন সহযোগীসহ তপু ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন রোববার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন চারজন।

গ্রেপ্তার অন্য তিন আসামি হলেন সোনারগাঁ উপজেলার ছোট অর্জুনদি গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে মো. রোহান (২১), বড়নগর এলাকার শুভঙ্কর চন্দ্র রাজবংশীর ছেলে কৃষ্ণচন্দ্র রাজবংশী (৩২) ও বগুড়ার শেরপুরের খাজা আশ্রমপাড়া এলাকার চান শেখ মিয়ার ছেলে মো. এরশাদ (২৪)।

বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রেজাউল করিম মামলাটি তদন্ত করছেন। তিনি বলেন, ‘তপু একটি ছিনতাইকারী দলের নেতৃত্ব দেন। তাঁর নেতৃত্বেই ডিবি পরিচয়ে আসামিরা প্রবাসীর টাকা ও মুঠোফোন ছিনতাই করেন। এর আগেও তাঁরা তপুর নেতৃত্বে ছিনতাই করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে টাকা ভাগাভাগির সময় তপু বেশি ভাগ নিতেন।’

তপুর বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, ‘তপু আমার এলাকার ছেলে। সেই সুবাদে ছোটবেলা থেকেই আমি তাকে চিনি। একসময় আমার সঙ্গে রাজনীতি করত। পরে নারায়ণগঞ্জ শহরে রাজনীতি শুরু করে। ওদিকে গিয়ে বড় নেতাদের ধরে সে এখন বড় নেতা হইছে। এখন শুনলাম, ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার হইছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা তপুর গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে আছেন। তবে তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে সংগঠন সিদ্ধান্ত নেবে।’