১৭ বছর আগে চাচিকে হত্যা, এবার বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

নিহত আবদুস সামাদ
ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় এক ব্যক্তিকে তাঁর ছেলে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের বিন্যাওয়ারী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুস সামাদ (৫৫) বিন্যাওয়ারী পাড়ার বাসিন্দা। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ওয়াহেদ আলী (৩২) নিহত আবদুস সামাদের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ওয়াহেদ পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে মায়ের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে মাকে মারতে দা নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন ওয়াহেদ আলী। ছেলের ভয়ে মা আত্মগোপনে চলে যান। রাতে বাবা বাড়িতে ফিরলে ওয়াহেদ তাঁকে কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন রাত ১১টার দিকে বাড়ির রান্নাঘরে আবদুস সামাদকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।

বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রুবেল মিয়া বলেন, ওয়াহেদ আলী এলাকায় মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী আতঙ্কে আছেন।

ওয়াহেদ আলীর চাচাতো ভাই দুবাইপ্রবাসী নূরনবী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ১৫ বছর বয়সে নিজের এক চাচিকে কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন ওয়াহেদ। তখন ওয়াহেদের বয়স কম হওয়ায় আদালত তাকে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন।

এ ঘটনায় ওয়াহেদ আলীর বিরুদ্ধে বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন নিহতের ছোটভাই আবদুর রশিদ। ১৭ বছর আগে আবদুর রশিদের স্ত্রীকে হত্যার জন্য ওয়াহেদকে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল।

সখীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর আজ সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।