‘এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফের নয়, চট্টগ্রামবাসীর’

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লাব প্রতিনিধি ও ক্রীড়া সংগঠকেরা। আজ সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবেছবি: প্রথম আলো

স্থানীয় খেলাধুলার স্বার্থে চট্টগ্রামের বিত্তবান লোকজন কাজীর দেউড়ির এম এ আজিজ স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছেন। এই মাঠ চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস)। বাফুফের অনুমতি নিয়ে খেলাধুলা করাটা কোনোভাবে কাম্য নয়। অবিলম্বে আমরা এই স্টেডিয়াম ২৫ বছরের জন্য বাফুফেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাই।

আজ সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লাব প্রতিনিধি ও ক্রীড়া সংগঠকেরা। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক ক্রিকেটার শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী। বক্তব্য তুলে ধরেন ফ্রেন্ডস ক্লাবের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল বশর, সিজেকেএসের সাবেক সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল, ক্রীড়া সংগঠক আমিনুল ইসলাম, শাহজাদা আলম, শাহাবুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও নিয়াজ মোহাম্মদ খান।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামটি প্রথমে ১০ বছরের জন্য এবং পরবর্তী সময় ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছেন স্থানীয় ক্রীড়ামোদীরা। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ একটা সংশোধনী চিঠি পাঠিয়েছে। তাতে স্থানীয় খেলাধুলার জন্য বাফুফের অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।

হাফিজুর রহমান বলেন, এই মাঠকে কেন্দ্র করে প্রায় ৩০টির বেশি খেলাধুলা হয়। এ ছাড়া সকাল থেকে মাঠ এবং সামনের প্রশিক্ষণ মাঠে কিশোর-তরুণেরা অনুশীলন করে থাকে। চট্টগ্রামের সব খেলাধুলা এই মাঠ ঘিরেই চলে। এই মাঠ শুধু ফুটবলের জন্য বরাদ্দ দিয়ে অন্য খেলাগুলোর ক্ষতি করা হয়েছে।

সৈয়দ আবুল বশর বলেন, ‘স্থানীয় ফুটবলও এখানে হতে পারবে না। কারণ, এখানে তিনটা লিগ হয়। আন্তর্জাতিক মানের যখন স্টেডিয়াম করা হবে, তখন চাইলেই এই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না। তাই এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফের নয়, চট্টগ্রামবাসীর স্টেডিয়াম।’