জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রাজাকার’ লেখা কুশপুত্তলিকা দাহ, মশালমিছিল
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শনীর প্রতিবাদে মশালমিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। আজ বুধবার রাত ১০টার দিকে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে মশালমিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি ছাত্রদের সাতটি হলসংলগ্ন রাস্তা ঘুরে আবার বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে ‘রাজাকার’ লেখা একটি কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তাঁরা।
এদিকে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের মশালমিছিল চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হল, শহীদ সালাম-বরকত হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল, ২১ নম্বর হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হল থেকে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগানসহ বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান দেন আরেক দল শিক্ষার্থী।
মশালমিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। সমাবেশটিতে সঞ্চালনা করেন ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া।
সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আ র ক রাসেল বলেন, ‘যে রাজাকাররা বাংলাদেশের জাতির পতাকা খামচে ধরেছিল, সেই রাজাকারদের ছবি গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্তৃক প্রদর্শনী করা হয়েছে। রাজাকারদের ছবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হওয়ার মতো কষ্টের আর কিছু হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে যখনই আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে চেয়েছি, তখনই আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর বলে ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা মানেই আওয়ামী লীগের দোসর নয়। মুক্তিযুদ্ধ এ দেশের জ্বলন্ত ফ্যাক্ট, এই ফ্যাক্টকে ধারণ করেই এ দেশে রাজনীতি করতে হবে।’
ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আগামী দিনে কিংবা বর্তমানে যেকোনো সময়, যেকোনো অছিলায় যদি রাজাকারকে ‘নরমালাইজ’ করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে স্বাধীনতাকামী ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই তা বরদাশত করবে না।