পাথরঘাটায় ব্যালট না দেওয়ায় সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের চেয়ারম্যান পদের ব্যালট না দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ। রোববার দুপুরে উপজেলার আমড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রেছবি: সংগৃহীত

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের চেয়ারম্যান পদের ব্যালট না দেওয়ায় ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের দুই পোলিং কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার আমড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের একটি পুরুষ বুথে এ ঘটনা ঘটে। ওই তিনজন ওই বুথে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরিশালের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার বেলা তিনটার দিকে প্রথম আলোকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

কারাদণ্ড পাওয়া সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নাম জাকির হোসেন খান। তিনি পাথরঘাটার কে এম মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। আটক দুই পোলিং কর্মকর্তা হলেন কালমেঘা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল করিম ও এসইএসডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ঝুমুর রানী বিশ্বাস। তাঁদের সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, আমড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন খানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই পোলিং কর্মকর্তা রবিউল করিম ও ঝুমুর রানী বিশ্বাসকে মুচলেকা নিয়ে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ভোটার ও কেন্দ্রের দায়িত্বরত ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের একটি পুরুষ বুথে ভোটারদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের ব্যালট দেওয়া হলেও চেয়ারম্যান পদের ব্যালট দেওয়া হয়নি। ভোটাররা বিষয়টি কেন্দ্রের সামনে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই বুথে ভোট গ্রহণে দায়িত্বরত সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন খান এবং দুই পোলিং কর্মকর্তা রবিউল করিম ও ঝুমুর রানী বিশ্বাসকে আটক করার আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জাকির হোসেন খানকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং অন্য দুজনকে মুচলেকা নিয়ে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়।

জানতে চাইলে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. রিয়াজ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভোটকেন্দ্রের একটি বুথে দায়িত্বরত একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও দুজন পোলিং কর্মকর্তাকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাঁদের আটক করা হয়।