নোয়াখালীতে বিএনপি ও জামায়াতের দুই নেতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে গ্রেপ্তার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নিজাম উদ্দিন ও সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল হক
ছবি: সংগৃহীত।

নোয়াখালীতে বিএনপি ও জামায়াতের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক এবং নোয়াখালী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিন। আজ বুধবার তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বেগমগঞ্জ থানার একটি নাশকতার মামলায় তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আজ বিকেলে তাঁকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ইসহাক খন্দকার বলেন, পুলিশের একটি দল জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফারুককে তাঁর বাসা থেকে  ধরে নিয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলোতে তিনি জামিনে রয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে। সরকার অন্যায়ভাবে আমাদের ওপর হয়রানি চালাচ্ছে ও গ্রেপ্তার করছে।’

এদিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হককে আজ দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মাইজদী কোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে পাঠানো হয় কারাগারে।

নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান অভিযোগ করেছেন, পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নোয়াখালীতে গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামালকে গ্রেপ্তার করেছে।