মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে মা মেসে এসে পেলেন মেয়ের ঝুলন্ত লাশ

ঝুলন্ত লাশ
প্রতীকী ছবি

মেসের কক্ষ থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রীর নাম রিবনা শাহরিন। গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের মোল্লাবাড়ি এলাকার বেসরকারি মেসের চতুর্থ তলার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশে পচন ধরে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রিবনা আত্মহত্যা করেছেন।

রিবনা শাহরিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামে।

সহপাঠী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জুলাই রিবনার পরীক্ষা ছিল। ওই দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মা সাবরিনা পারভীনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। এরপর তিন দিন ধরে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ ছিল। মা ভেবেছিলেন, পড়াশোনার চাপে মেয়ে মুঠোফোন বন্ধ রেখেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর মা বরিশালে মেয়ের মেসে এসে দেখেন, কক্ষের দরজা ভেতর থেকে আটকানো। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিনি বিষয়টি জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বন্দর থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

রিবনার বাবা আলমাসুন ইসলাম খাদ্য পরিদর্শক ছিলেন। তিনি কয়েক বছর আগে মারা যান। রিবনার মা সাবরিনা পারভীন বলেন, তাঁর মেয়ের অনেক দিন ধরেই একা থাকার প্রবণতা ছিল। কারও সঙ্গে তেমন মিশতেন না। চুপচাপ থাকতে পছন্দ করতেন। কেন মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি খুব মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। ওই শিক্ষার্থীর একা থাকার প্রবণতা ছিল। প্রাথমিক ধারণা, রিবনা আত্মহত্যা করেছেন। কেন, কী কারণে এমনটা হলো, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।

বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান বলেন, মেসের চতুর্থ তলার একটি কক্ষে রিবনা একা থাকতেন। কয়েক দিন ধরে স্বজনেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। পরে মা এসে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।