কুমিল্লায় আন্দোলনে বাধাদানের ভিডিও করায় শিক্ষার্থীকে ‘শিবির সন্দেহে’ মারধর

মারধরের শিকার ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী তামিম হোসেনকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাধাদানের ভিডিও করায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ভিক্টোরিয়া কলেজের নজরুল হলে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মো. তামিম হোসেন ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্য। তাঁকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কলেজের সাংবাদিক সমিতির নেতারা বলছেন, কলেজ ছাত্রলীগে পদপ্রত্যাশী কয়েকজন মিলে তামিম হোসেনকে মারধর করেন। পুলিশ বলছে, কয়েকজন শিক্ষার্থী তামিমকে শিবির সন্দেহে মারধর করেছেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার কুমিল্লার ধর্মপুরে ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে একদল শিক্ষার্থী এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তামিম ভিডিও ধারণ করছিলেন। তখন বাধাদানকারীদের কয়েকজন তামিমের মোবাইল কেড়ে নেন। পরে তাঁকে মোবাইল ফিরিয়ে দেবেন বলে হলের দিকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করেন।

আরও পড়ুন

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, তামিম কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় একদল শিক্ষার্থী যাঁরা কোটার পক্ষে, তাঁরা আন্দোলনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তামিম ওই ভিডিও ধারণ করছিলেন। তখন একদল শিক্ষার্থী তামিমকে মারধর করেন। কারা মারধর করেছেন এমন প্রশ্নে আবু সুফিয়ান বলেন, ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী কয়েকজন মিলে মারধর করেন।

আহত তামিম বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁর মোবাইল নিয়ে যান। পরে তাঁকে হলে আটকে রেখে মারধর করেন।

এ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী সায়েমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, তিনি এখন দায়িত্বে নেই। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না।

কলেজ অধ্যক্ষ আবু জাফর খান বলেন, তিনি জরুরি কাজে ঢাকায় আছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হলের প্রভোস্টকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ভিক্টোরিয়া কলেজের নজরুল হলের প্রভোস্ট নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী তামিমকে শিবির সন্দেহে মারধর করেছেন। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।