রেললাইনের পাশে গাছে ঝুলছিল সেরেস্তাদারের মরদেহ, পরিকল্পিত হত্যার সন্দেহ

লাশপ্রতীকী ছবি

ফেনীতে রেললাইনের পাশের ঝোপে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক সেরেস্তাদারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুর এলাকার রেললাইনের পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলে থাকা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় মরদেহটির পা মাটিতে লেগে ছিল।

নিহত ব্যক্তির নাম এনামুল হক (৫০)। তিনি ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে। এনামুল হক পরিবারসহ ফেনী পৌরসভার বারাহীপুর এলাকার মোমেনা ম্যানশনে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি ফেনী আদালতে সেরেস্তাদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ দুপুরে ফতেহপুর পদচারী–সেতুসংলগ্ন রেললাইনের পাশের ঝোপ থেকে একটি মুঠোফোনের রিংটোনের শব্দ শোনা যায়। শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে এক ব্যক্তি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহটি দেখতে পান। পরে স্থানীয় লোকজনকে জানানো হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সৌরভ পাটোয়ারী জানান, নিহত ব্যক্তির পরনে ফুলপ্যান্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি ছিল। তাঁর কোমরে চাবির ছড়া ছিল এবং পকেটে থাকা মুঠোফোনে রিংটোন বেজে যাচ্ছিল। স্থানীয় লোকজনের ধারণা, তাঁকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হতে পারে।

নিহত ব্যক্তির শ্যালক জাফর মোল্লা বলেন, এনামুল হক সকালে সাতটার দিকে শহরের বাসা থেকে বের হন। পরে তিনি গ্রামের বাড়ি পাঁচগাছিয়ার মাথিয়ারা এলাকায় যান। দুপুরের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্বজনেরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁর দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজীম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নিশাত তাবাসসুম বলেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটনে তদন্ত চলছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।