ফরিদপুরে শ্যালিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দুলাভাইসহ চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ফরিদপুরে শ্যালিকাকে (২৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুলাভাইসহ চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দুটি ধারায় সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। হত্যার ঘটনায় আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন সদরপুর উপজেলার জাহাঙ্গীর ব্যাপারী (৩৮), কামরুল মৃধা (৩৮), আলী ব্যাপারী (৪৩) ও বক্কার ব্যাপারী (৩৮)। হত্যার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডসহ তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অপর দিকে ধর্ষণের দায়ে ওই চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ব৵ক্তিরা দুই সাজা একসঙ্গে ভোগ করতে পারলেও উভয় দণ্ডের আর্থিক জরিমানা তাঁদের দিতে হবে।
এ মামলার আরও দুই আসামি মমতাজ বেগম (৬৩) ও আলী ব্যাপারীর বাবা আবুল কালাম ব্যাপারীকে (৬৮) মামলার আলামত নষ্ট করার দায়ে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় জাহাঙ্গীর ব্যাপারী ছাড়া আদালতে সব আসামি হাজির ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রাত একটার দিকে জাহাঙ্গীর ব্যাপারী দলবল নিয়ে শ্যালিকার বাড়িতে গিয়ে তাঁর বোন এসেছেন জানিয়ে দরজা খুলতে বলেন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে ঢুকে আসামিরা ওই নারীকে ধর্ষণ এবং শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর মা ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর আদালতে মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর পুলিশ অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া বলেন, ‘২০১২ সালে ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট থানা মামলাটি না নেওয়ায় পরবর্তী সময়ে আদালতে মামলা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে মোট সাতজন কর্মকর্তা তদন্ত করেন। দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হলেও ন্যায়বিচার পেয়ে আমরা (রাষ্ট্রপক্ষ) সন্তুষ্ট।’