সৌদিপ্রবাসীর ‘ইমো’ হ্যাক করে প্রতারণা, নাটোরে ৭ তরুণ গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কচুয়াদহ এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম (৩৮)। তাঁর চাচাতো ভাই মো. ওয়াসিম সৌদি আরবে থাকেন। গত ২৫ অক্টোবর দুপুরে ওয়াসিমের মুঠোফোন থেকে ‘ইমো অ্যাপে’ মনিরুলের মুঠোফোনে কয়েকটি ফোন নম্বর পাঠানো হয়। খুদেবার্তায় জানানো হয়, দেশে কর্মরত তাঁর শ্রমিকদের ওই ফোন নম্বরগুলোতে তিনি যেন বিকাশে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬০ টাকা পাঠিয়ে দেন। মনিরুল সরল বিশ্বাসে তিনি ওই টাকা পাঠিয়ে দেন। পরক্ষণেই তিনি জানতে পারেন, ওয়াসিমের ইমো আইডি ‘হ্যাক’ হয়েছে।
এভাবে প্রতারিত হয়ে মনিরুল নানাভাবে টাকাগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তবে বিফল হন। শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যদের জানান। প্রযুক্তির সহায়তায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া বাজার থেকে এ ঘটনায় জড়িত সাতজনকে আটক করে র্যাব। তাঁরা র্যাবের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
নাটোর র্যাব ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, মনিরুলের অভিযোগ পেয়ে র্যাব তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, লালপুরের বিলমাড়িয়া এলাকা থেকে প্রতারকেরা এই ফাঁদ পেতেছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারকদের অবস্থান নিশ্চিত হন এবং অভিযান শুরু করেন। রাতেই বিলমাড়িয়া বাজার এলাকা থেকে সাতজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বেলাল মণ্ডল (২৯), নাটোরের লালপুর উপজেলার মেহেদী হাসান (২৪), মোহন সরকার (১৯), শিমুল আলী (১৯), শাহ পরান সরকার (১৯), মো. রবি (২২) ও রুবেল মণ্ডল (৩২)। আটকের সময় তাঁদের কাছ থেকে ৯টি মুঠোফোন, ১৫টি সিম কার্ড, দুই বোতল ফেনসিডিল, একটি ডিভিআর সেট, নগদ ১৫ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
নাটোর ক্যাম্পের অধিনায়ক (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) ফরহাদ হোসেন বলেন, আটক তরুণদের কয়েকজন এর আগেও ইমো হ্যাকিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে তাঁরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও এই কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন। তাঁরা র্যাবের কাছে দোষ স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে লালপুর থানায় মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আটক তরুণদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।