কনসার্টে যেতে মোটরসাইকেল না দেওয়ায় মা-ছেলেকে খুন, মামলায় অভিযোগ

মামলা
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সাদুল্লাপুর বটতলা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী ও কলেজপড়ুয়া ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শিবগঞ্জ থানায় এ হত্যা মামলা করেন নিহত গৃহবধূ রানী বেগমের (৪০) বাবা। মামলায় দাবি করা হয়েছে, কনসার্টে যেতে মোটরসাইকেল না দেওয়ার জের ধরে এক আত্মীয় ওই মা-ছেলেকে হত্যা করেছেন।

মামলায় এজাহারভুক্ত একমাত্র আসামি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার একডালা গ্রামের তরুণ জিসানকে (২০)। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও দু–তিনজনকে। জিসান ওই পরিবারের আত্মীয়।

আরও পড়ুন

রানী বেগম সাদুল্লাপুর বটতলা গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী ইদরিস আলীর স্ত্রী। তাঁদের একমাত্র ছেলে নিহত ইমরান হোসেন বগুড়া শহরের ফকির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। এ ছাড়া এ দম্পতির একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন, অর্থাৎ গত সোমবার রাতে মেয়ে ইশরাত জাহান শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। ওই রাতে রানী বেগম বাড়িতে ছিলেন। রাত ১০টার পর একমাত্র ছেলে ইমরান হোসেন বগুড়া থেকে বাড়িতে ফেরে। কিছুক্ষণ পর জিসানসহ দুই থেকে তিনজন বাড়ির প্রধান বাড়ির ফটকে নক করেন। রানী বেগম ফটক খুলে দিলে জিসানসহ অন্যরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, কনসার্ট দেখতে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল চেয়ে না পেয়ে জিসান ও তাঁর সহযোগীরা এর আগে ইমরানের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির ফটকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এর জের ধরে সোমবার রাতের কোনো এক সময় জিসান ও তাঁর সহযোগীরা আবার বাড়িতে প্রবেশ করেন। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কলেজছাত্র ইমরান হোসেন ও তার মা রানী বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর আসামিরা ইমরানের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মুঠোফোন, রানী বেগমের মুঠোফোন নিয়ে চলে যান।

সকালের দিকে ৯৯৯–এ কল পেয়ে পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত মা–ছেলের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরির পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠান।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুজ্জামান বলেন, আসামি জিসান নিহত রানী বেগমের মামাতো ভাই। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, কলেজছাত্র ইমরান হোসেন ও তার মা রানী বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে জিসান ও তাঁর সহযোগীরা মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন নিয়ে গিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। মামলা হওয়ার পর জিসান ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।