কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলায় ইমামসহ দুজন গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এক কিশোরীর (১৪) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় এক পুরুষ ও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার পুরুষ উপজেলার একটি মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক ও স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম (৫১)। গ্রেপ্তার নারী ওই মাদ্রাসার শিক্ষিকা। মৃত কিশোরী মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থী ছিল।
গ্রেপ্তার ইমামের বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ পরিবারের।
এ ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত ইমামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অভিযুক্ত ইমামের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায়।
শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘মাদ্রাসা ছুটির পর আমার মেয়েকে রুমে নিয়ে ইমাম ধর্ষণ করে। বাড়িতে এসে সে সব জানালেও মানসম্মানের ভয়ে আমরা কিছু বলিনি। ঘটনাটি সহ্য করতে না পেরে আমার মেয়ে বৃহস্পতিবার আত্মহত্যা করেছে। আমি এই ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।’
ওই কিশোরীর মরদেহ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের শেষ গতকাল শুক্রবার জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, এ ঘটনায় নিহত কিশোরীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত ইমাম এবং এক নারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।