সকালের শান্ত পরিবেশ বিকেলে অশান্ত, কয়েকটি কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ

সুনামগঞ্জ-২ আসনের শাল্লা উপজেলার কান্দিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন এক নারী। রোববার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে ভোট গ্রহণের পরিবেশ সকালে শান্ত থাকলেও বেলা তিনটার পর কিছু কিছু কেন্দ্রে অশান্ত হয়ে যায়। এসব কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জয়া সেন গুপ্তার (কাঁচি প্রতীক) পক্ষ থেকে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ-২ আসনে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের ছোট ভাই। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

জয়া সেন গুপ্তার সমর্থকদের অভিযোগ, বেলা তিনটার পর শাল্লা উপজেলার শাল্লা ইউনিয়নের আদিত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রৌয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কান্দিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হবিবপুর ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর লোকজন জাল ভোট দিয়েছেন। এ ছাড়া আটগাঁও ইউনিয়নের বড়গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে তিনটায় ১০-১৫ জন ব্যক্তি কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে ব্যালটে সিল মারেন। পরে তাঁরা নৌকার স্লোগান দিয়ে সেখান থেকে চলে যান বলে অভিযোগ করেন জয়া সেন গুপ্তার সমর্থক শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অবনি মোহন দাস।

অবনি মোহন দাস বলেন, বেলা তিনটা পর্যন্ত পরিবেশ শান্ত ছিল। এরপর কিছু কিছু কেন্দ্রে জোর-জবরদস্তি শুরু হয়। সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটেছে বড়গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এখানে কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট নিয়ে ভোট দিয়ে নৌকার স্লোগান দিয়ে বের হয়ে যান নৌকার কর্মীরা। মির্জাপুর কেন্দ্রে এক সাংবাদিককেও নৌকার লোকজন লাঞ্ছিত করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

জয়া সেন গুপ্তার সমর্থকদের অভিযোগ, দিরাই উপজেলার সুজানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিকেলে কাঁচি প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া শুকুরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাটিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার পক্ষে জাল ভোট দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জয় সেন গুপ্তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য নৌকার প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। এ আসনে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীর অন্যজন হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান (ঈগল)।