বরিশালে ডেঙ্গুতে চার দিনে চারজনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৭০
বরিশালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে মো. আনিস (২২) নামের ওই রোগী পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ নিয়ে চলতি বছর বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে ১৮ জনের মৃত্যু হলো।
গত শুক্রবার সকাল থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে চার দিনে চারজনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে তিনজনই মারা যান বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
গতকাল রাতে মারা যাওয়া মো. আনিস পটুয়াখালী সদরের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এদিকে গতকাল সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০ জন। এ নিয়ে চলতি বছর বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৭৩২ জন। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার থেকে শনিবার ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন, রোববার রাতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এবার বৃষ্টি মৌসুমে তীব্র দাবদাহ ও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে জুন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম ছিল। চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত এ বিভাগে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১০ জন। আর বাকি ৮ জন মারা যান আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া বরগুনায় দুজন এবং পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুরের হাসপাতালের মারা যান একজন করে তিন রোগী।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে এই বিভাগের ছয়টি জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৭৭ জন। বাকি ১ হাজার ৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এবার গত বছরের চেয়ে এই বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ এখনো কম। গত বছর বিভাগে ৩৮ হাজার ১৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আর মৃত্যু হয়েছিল ২১৪ জনের।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বরিশালে গত বছরের চেয়ে এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক কম। তবে সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর প্রভাব কিছুটা হলেও বেড়েছে। এর পেছনে কারণ হলো সেপ্টেম্বরে বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে। গত চার দিন ধরে রোগীর মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে।