শিশুকে শ্বাসরোধে খুনের পর সিগারেটের ছেঁকা, প্রতিবেশীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ

নিহত শিশু কাজী মশিউর রহমানছবি: সংগৃহীত।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক শিশুকে শ্বাসরোধে খুনের পর শরীরে সিগারেটের ছেঁকা দেওয়া হয়। এরপর বস্তাবন্দী করে ফেলে দেওয়া হয় লাশ। ১৩ বছর আগের এই ঘটনায় খুনি সেই প্রতিবেশীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম কাজী নাহিদ হোসেন। আজ রোববার দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল আউয়াল এই রায় দেন।।

নিহত শিশুর নাম কাজী মশিউর রহমান ওরফে ওয়াসিম (৫)। সে মিরসরাইয়ের মঘাদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া তালুক কাজীবাড়ির কাজী মোশাররফ হোসেনের ছেলে।

সরকারি কৌঁসুলি দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, শিশু কাজী মশিউর রহমানকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর বিকেলে মিরসরাইয়ের মঘাদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া তালুক কাজীবাড়ির পূর্বপাশের ছনখোলা থেকে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। পরে পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী কাজী নাহিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

খুনের ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন কাজী নাহিদ হোসেন। এতে স্বীকার করেন, নিহত শিশুর বাবার সঙ্গে প্রবাসে ছিলেন তিনি। সেখানে ব্যবসার টাকা নিয়ে তাঁর বিরোধ হয়। এর প্রতিশোধ নিতে কাজী মোশাররফের ছেলে কাজী মশিউরকে শ্বাসরোধে খুন করেন।

খুনের পর শিশুটির পুরো শরীরের সিগারেটের আগুনের ছেঁকা দেন। পরে বস্তাবন্দী করে ফেলে দেন। এই মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন।