নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। পরে তাঁরা নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তরে যানছবি: প্রথম আলো

বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে অবস্থান নিলে এতে প্রায় ২০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী এলাকার এসটি গার্মেন্টসে প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করেন। ঈদের আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন মালিকপক্ষ ঈদের পর বকেয়া বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেয়। ঈদের ছুটি শেষে আজ মঙ্গলবার শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে এসে দেখেন কারখানা বন্ধ।

এরপর কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় অবস্থান নেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। পরে শ্রমিকেরা নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তরে যান এবং দাবি জানিয়ে আবেদন করেন।

কারখানার শ্রমিক কামাল হোসেন বলেন, তাঁর দুই মাসের বেতন বকেয়া আছে। মালিকপক্ষ ঈদের বেতন-বোনাসের পরিশোধ করবে বলে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু কারখানায় এসে দেখেন তালা দেওয়া।

আরেক শ্রমিক সালাউদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি মালিকপক্ষ রাতের আঁধারে কারখানা বন্ধ করে মালামাল নিয়ে গেছে। ঈদের পর শ্রমিকদের সবার হাত খালি; কাজও বন্ধ।’ দ্রুত কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে কারখানার মালিক আতিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোনে বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (গোয়েন্দা) সেলিম বাদশা প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। একপর্যায়ে তাঁরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কে অবস্থান নিলে প্রায় ১০ মিনিটের মতো যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের বুঝিয়ে সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।