ফরিদপুরে নৌকা–ঈগলের সমর্থকদের সংঘর্ষে দুই ঘণ্টা ভোট বন্ধ

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার জেরে একটি কেন্দ্রে দুই ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। আজ রোববার ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রণকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক তপন কুমার গুহসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টায় যথারীতি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রণকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নৌকার সমর্থকেরা জড়ো হয়ে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন। ওই সময় ঈগল প্রতীকের সমর্থকেরা বাধা দিলে এ নিয়ে প্রথমে বচসা এবং পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ভোটকেন্দ্রটির ভোট গ্রহণ বন্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত ২ হাজার ৭৩৪ ভোটারের মধ্যে ৬১২ জন ভোট দেন। পরে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম ঘটনাস্থলে যান। দেড় ঘণ্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হলে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

এ বিষয়ে রণকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাফিস ইমতিয়াজ ‌জানান, ‘সংঘর্ষের কারণে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ সম্ভব হয়নি। আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ভোটকেন্দ্রে দুই পক্ষের সমর্থকদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

ফরিদপুর-৩ আসনে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের শামীম হক (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ (ঈগল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের এম এ মুয়ীদ হোসেন (ডাব), জাতীয় পার্টির এস এম ইয়াহিয়া (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মো. দেলোয়ার হোসেন (একতারা) ও বিএনএমের গোলাম রাব্বানী খান (নোঙর)।