আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হাজি রিপনসহ গ্রেপ্তার ১০
নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত বজলুর রহমান ওরফে হাজি রিপন, তাঁর ছেলেসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’–এর অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বজলুর রহমান নগরের নিউ চাষাঢ়া জামতলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ট সহযোগী হিসেবে পরিচিত। জাতীয় পার্টির হয়ে রাজনীতি করতেন। বজলুর রহমানের গ্রেপ্তার ছেলের নাম মো. রাফি (৩৫)। তাঁদের জামতলার ধোবাপট্টি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফতুল্লার কোতালের ভাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের সহযোগী যুবলীগ কর্মী আরিফ মাহমুদকে (৫০)।
পুলিশ জানায়, বজলুর রহমান জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে জেলা ট্রাক–ট্যাংক–লরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হয়ে পণ্য পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করতেন। বজলুর রহমানের বড় ছেলে সালেহ রহমান (সীমান্ত) নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে একজন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান জানান, বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ছাত্রজনতার ওপর হামলার মামলার আসামিও। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি ও তাঁর ছেলে রাফি শহরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন।
একই অভিযানে শহরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. ইসহাককে (৭২), সিদ্ধিরগঞ্জে রুবেল (৩৫), বন্দর এলাকা থেকে বিল্লাল হোসেন (৫৫), রূপগঞ্জে সারোয়ার হোসেন ওরফে রিপন (৩৫), আড়াইহাজারে মাহমুদুল হাসান (৩৬), সাফিন (৪৩), সোনারগাঁওয়ে সাদ্দাম (৩৪) নামের ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানো হবে।