ময়মনসিংহে বিয়ের কথা বলে তরুণীকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক ও তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমের পর বিয়ের আশ্বাসে ওই তরুণীকে ডেকে নিয়ে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার মেয়েটিকে ছেড়ে দিলে সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে তিনি বিস্তারিত পুলিশকে জানান। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, মেয়েটির (১৮) বাড়ি নান্দাইল উপজেলায় হলেও ত্রিশাল উপজেলার একটি গ্রামে পালক মা–বাবার কাছে বড় হন। প্রায় ৯ মাস আগে ত্রিশাল উপজেলার বাদশা মিয়া (২২) নামের এক তরুণের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়েটির পরিচয়।
মেসেঞ্জারে কথোপকথনে তাঁদের মধ্যে একসময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৯ মাসের সম্পর্কে দুই–তিনবার তাঁদের দেখা হয়। সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে বিয়ের বিষয়ে কথাবার্তা হয়। অভিভাবকেরা রাজি হবেন না, এই ধারণায় পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
পুলিশ জানায়, পালিয়ে বিয়ে করার জন্য গত মঙ্গলবার পালক মা-বাবার বাড়ি থেকে ৯ হাজার টাকা নিয়ে বের হন মেয়েটি। প্রেমিক বাদশার দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী মেয়েটি একটি বাড়িতে যান। সেখানে আহাদ মিয়া ও ফরিদ মিয়া নামে বাদশা মিয়ার আরও দুজন বন্ধু ছিলেন। ওই বাড়ি যাওয়ার পর মেয়েটির কাছ থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয় বাড়ি থেকে আনা ৯ হাজার টাকা। এরপর মেয়েটিকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর বৃহস্পতিবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তরুণী এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে বিস্তারিত জানালে তাঁকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও থানায় নেওয়া হয়।
ত্রিশালে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে মামলা হয়েছে। তিনজনকে আসামি করে মামলাটি করেন নির্যাতনের শিকার তরুণী।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই আহাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মামলার তিন নম্বর আসামি। শুক্রবার বিকেলে অভিযুক্তকে ময়মনসিংহ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ওই তরুণীর দায়ের করা মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।