ঝালকাঠিতে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে দোকানঘর দখলের অভিযোগ
ঝালকাঠিতে হাফিজ আল মাহমুদ নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে দোকানঘর দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার বেলা তিনটায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
অভিযুক্ত হাফিজ আল মাহমুদ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ঝালকাঠি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। এ সময় তাঁর দুই ভাই মো. লিটু, মো. শহিদ ও ছোট বোন রুমা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
তবে দোকানঘর দখলের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন হাফিজ আল মাহমুদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দোকানঘরের বেশির ভাগ জমি তাঁদের চাচার কাছ থেকে আমি কিনেছি। তাঁরা সামান্য অংশ পেতে পারে। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য তাঁদের একাধিকবার ডেকেছি। কিন্তু তাঁরা বসেনি।’
লিখিত বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমাদের বাবা মৃত আবদুল খালেক খলিফা। আমরা ওয়ারিশ সূত্রে ও সাফ–কবলা দলিল মূলে পাওয়া শহরের পূর্ব চাঁদকাঠী চৌমাথার একটি জমিতে দুটি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছি। ২০১৪ সালে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ দোকানঘর দুটি দখল করেন। ওই সময় তিনি আমাদের দুইজন ভাড়াটেকে তাড়িয়ে দেন। পরে দোকান দুটি নিজের দুই ক্যাডারকে ভাড়া দেন হাফিজ আল মাহমুদ। এতে বাধা দিতে গেলে আমার দুই ছোট ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধর করে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী। আমার ছোট বোন রুমাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়।’
আজ (শনিবার) সকাল থেকে ওই দোকানঘর দুটি ভেঙে নতুন করে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা ঝালকাঠি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয়নি। তৎকালীন পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের সবার কাছে ছোটাছুটি করেও কোনো সহায়তা পাইনি। দলের একজন কর্মী হিসেবে আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ, পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারসহ অন্য নেতাদের কাছে গিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। অথচ ওই সম্পত্তির সপক্ষে আমার বাপ-দাদার মালিকানাধীন দলিল, রেকর্ড, খাজনা দাখিলা, বিএস রেকর্ড রয়েছে। এ অবস্থায় আপনাদের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ও আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আমির হোসেন আমুর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’