কেএনএফ নেতাদের সঙ্গে ২ অক্টোবর সশরীর বৈঠক করতে চায় শান্তি কমিটি

কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সরকারের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী ২ অক্টোবর সশরীর বৈঠক করতে চায় বান্দরবানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমার নেতৃত্বে গঠিত শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের মেঘলা শান্তি পর্যটন এলাকার একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভায় বৈঠকের এই সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর আগে সশরীর বৈঠকের জন্য কেএনএফের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি কেএনএফ নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা সশরীর বৈঠকে রাজি।  কেএনএফের কাছ থেকে সাড়া পেয়ে বৈঠকের তারিখ নির্ধারণে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভা ডাকা হয়।

সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা, শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সদস্যসচিব ও বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজার লম বম, মুখপাত্র কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যাসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ২ অক্টোবর বৈঠকের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে বিষয়টি কেএনএফকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের স্থান থানচি অথবা রুমার যেকোনো স্থানে উভয় পক্ষের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে। বৈঠকে কেএনএফ নেতা নাথান বমসহ শীর্ষ নেতাদের উপস্থিত থাকতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ গত বছরের মাঝামাঝি থেকে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করে। সংগঠনটির বিরুদ্ধে পাহাড়ের গোপন আস্তানায় সমতলের জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার জঙ্গিদের টাকার বিনিময়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত বছরের অক্টোবর থেকে কেএনএফ ও শারক্কীয়া জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এ পর্যন্ত ৩৮ জন জঙ্গি ও বহু কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন।

কেএনএফের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে গত ২৯ মে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমার নেতৃত্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি এ পর্যন্ত কেএনএফ নেতাদের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠকে করেছে। তবে এবার সশরীর বৈঠক করতে চায় কমিটি।