সরকার পতনের এক দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনে হামলা, গ্রেপ্তার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরের সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গণসংহতি আন্দোলন ও গণতন্ত্র মঞ্চের বরিশাল জেলার সমন্বয়কারী দেওয়ান আবদুর রশিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের বরিশাল জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক বিজয় কৃষ্ণ বড়াল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মোহাম্মদ জাবের প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার হরণকারী এ সরকার গণ-আন্দোলনকে ভয় পেতে শুরু করেছে। নিজেদের ভয় তারা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই তারা বেসামাল হয়ে উঠছে। দেশের মানুষ এবার পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজপথে নেমেছেন, এবার তারা ষড়যন্ত্র করেও আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
সমাবেশে আবদুর রশিদ বলেন, ২৯ জুলাই বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ অবস্থানে পুলিশ ও সরকারি দল একযোগে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়েছে। আন্দোলন দমনের অজুহাত বের করতে পরিকল্পিতভাবে বাসে আগুন দিয়েছে। সরকার ও সরকারি দলের আগুন নিয়ে খেলার অপকৌশল মানুষ ধরে ফেলেছে।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশি ছত্রচ্ছায়ায় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ তাদের কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি; বরং বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিরোধী দলগুলোর শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে প্রমাণ করেছে, সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চায়। বিনা উসকানিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও সরকার দলের সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়ে কয়েক শ নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। পুলিশ এখন উল্টো বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে শত শত নেতা-কর্মীকে জেলে পাঠাচ্ছে।
বক্তারা বলেন, হামলা, আক্রমণ, গ্রেপ্তার, নিপীড়ন, রাষ্ট্রীয় ও সরকারদলীয়দের পরিকল্পিত নাশকতা দিয়ে সরকার গদি রক্ষা করতে পারবে না। এ সরকারকে বিদায় দিতে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। তাঁরা চলমান গণসংগ্রামকে গণ-অভ্যুত্থানের পথে নিয়ে যেতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ সেলিমের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার তীব্র নিন্দা জানান বক্তারা এবং অনতিবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করেন। বিকেল পাঁচটায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচি সন্ধ্যায় শেষ হয়।