নান্দাইলে ব্যবসায়ীর চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে হবিগঞ্জের এক ব্যবসায়ী চার লাখ টাকা খুইয়েছেন। প্রতারকেরা তাঁকে মারধর করে নান্দাইলছাড়া করে। ঘটনা জানার পর নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। তবে টাকা উদ্ধার হয়নি।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মজিদ ঘটনাটি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে জানান, গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আবদুল নুর মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী মো. নুরুল আমীন (৪২) নিজ এলাকায় পোলার আইসক্রিমের পরিবেশক (ডিলার)। তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজারে পোলার আইসক্রিম ছাড়া সেখানকার স্থানীয় কারখানায় তৈরি আইসক্রিম বিক্রি করে থাকেন। এই ব্যবসার মাধ্যমে পরিচয় হয় জাকির নামের এক গাড়িচালকের সঙ্গে। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে গাড়িচালক জাকির ব্যবসায়ী নুরুল আমীনকে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার এক পরিচিত আইসক্রিম ব্যবসায়ীর কথা বলেন। সেই ব্যবসায়ী উন্নত মানের আইসক্রিম তৈরি করেন জানিয়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসা করার প্রস্তাব দেন জাকির। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে জাকিরের সঙ্গে ব্যবসায়ী নুরুল আমীন গত বৃহস্পতিবার নান্দাইলে চলে আসেন।

ঘটনাটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরে পুলিশ প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী নুরুল আমীনকে খবর দিয়ে নান্দাইলে এনে মামলা গ্রহণ করে।

নান্দাইলে আসার পর নুরুল আমীন প্রতারকদের পাল্লায় পড়েন। নেপথ্যে কাজ করেন জাকির। প্রতারকের দলটি তাঁর কাছ থেকে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাঁকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।

পরে ঘটনাটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরে পুলিশ প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী নুরুল আমীনকে খবর দিয়ে নান্দাইলে এনে মামলা গ্রহণ করে। পরে নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের বন্দের বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হচ্ছেন বন্দের বাড়ি এলাকার মো. শরিফ (২৭), বাবু (২৮) ও রাসেল (২৮)। তাঁদের বিরুদ্ধে নান্দাইল মডেল থানায় প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে। গাড়িচালক জাকির পলাতক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দের বাড়ি এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা সস্তায় ডলার ও সোনার পুতুল বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ লোকজনকে ফাঁদে ফেলে নান্দাইলে নিয়ে আসেন। পরে তাঁদের কাছ থেকে টাকাপয়সা কেড়ে নিয়ে মারধর করে দূরপাল্লার বাসে তুলে দেওয়া হয়।