খালে ডুবে ছিল কিশোরীর মাথা, পানিতে ভাসছিল দুই পা

লাশ
প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার একটি খাল থেকে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের ঝিনাইগাড়ী খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে কারা, কী কারণে ওই কিশোরীকে হত্যা করেছে, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।

লাশ উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরী আটাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইশতিয়াক আলম প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় ওই কিশোরীর মাথা পানিতে ডুবে ছিল। দুই পা পানির ওপর ছিল। গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত কিশোরীর স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, গতকাল সোমবার রাতে ওই কিশোরীসহ তিন ভাইবোন ঘরে বসে টিভি দেখছিল। এ সময় ওই কিশোরী শোয়ার কথা বলে নিজের ঘরে চলে যায়। পরে স্বজনেরা তার ঘরে গিয়ে তাকে খুঁজে পাননি। আজ সকালে বাড়ির অদূরে ঝিনাইগাড়ী খালে তার লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। লাশের মাথাসহ শরীর পানিতে ডুবে ছিল আর কোমরসহ দুই পা ওপরের দিকে ছিল। গলায় ওড়নার গিঁট দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

আটাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ স ম সামসুল আরেফিন চৌধুরী বলেন, আজ সকালে ঝিনাইগাড়ী খাল থেকে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এক ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল বলে শুনেছেন। ছেলেটার বাড়ি অন্য কোথাও। এলাকায় সেতুর কাজ করতে এসেছিল। গতকাল রাতে নাকি ছেলেটি এসেছিল। রাত ১০টার দিকে মেয়েটি বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। স্বজনেরা মনে করেছিলেন, মেয়ে পালিয়েছে। এ জন্য রাতে আর খোঁজ নেননি।

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, কিশোরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের আগে কিছুই মন্তব্য করা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর সবকিছু পরিষ্কার হবে।