নাশকতার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য নজরুলসহ বিএনপির ৭০ জনের বিচার শুরু

নাশকতার মামলায় অভিযোগ গঠনের আগে নজরুল ইসলামসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা। আজ খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে
ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় ২০১৮ সালে নাশকতার অভিযোগে করা পুলিশের মামলায় খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলামসহ বিএনপির ৭০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান সিকদার এ অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযোগ গঠন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশগ্রহণ করেন স্পেশাল পিপি মাহমুদা ফারহানা। আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এস এম মনজুর আহমেদ, মোল্লা গোলাম মওলা, লস্কর শাহ আলম, মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ রফিকুজ্জামান ও ওমর ফারুক।

তথাকথিত নাশকতার মামলাগুলোর সাজানো-পাতানো রায় দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ।
নজরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য, খুলনা-২ আসন

মোল্লা গোলাম মওলা প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের আরজি জানানো হয়। আমরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (ডিসচার্জ) চেয়ে শুনানিতে অংশ নিই। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ডিসচার্জ আবেদন নাকচ করে বিচারক অভিযোগ গঠন করেন।’

খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিরোধী দল-মত দমনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কাল্পনিক অভিযোগের মামলাগুলো ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। তথাকথিত নাশকতার মামলাগুলোর সাজানো-পাতানো রায় দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ।

২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে নয়টার দিকে অস্থিরতা সৃষ্টি, সরকার উৎখাত, বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র ধ্বংস করার জন্য নাশকতার ষড়যন্ত্র এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমবেত হন—এমন অভিযোগে ওই রাতেই সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করে পুলিশ। সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রহিত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।

থানা-পুলিশ ও আইনজীবীদের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই মামলাটির তদন্ত শেষ করেন সোনাডাঙ্গা থানার এসআই পল্লব কুমার সরকার। এতে বিএনপির তৎকালীন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলামসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ মামলাটি আমলে নেন। ওই দিন মামলাটির বিচারকার্যের জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ খুলনা আদালতে স্থানান্তর করা হয়।