‘শেখ হাসিনা তখন ক্ষমতায় থাকলে তারেক রহমানকে পালাতে হতো না’

আজ দুপুরে নোয়াখালীর সেনবাগ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়
ছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘বিএনপি কত ভয়ংকর। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই আমাদের হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের সব নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে। কেন পালিয়ে যাবে? কারণ, তারা (বিএনপি নেতারা) আমাদের মারবে, আমাদের হত্যা করবে। আমাদের গলা কেটে নেবে, হাত কেটে নেবে, পা কেটে নেবে, আমাদের কন্যাদের ধর্ষণ করবে, আমাদের স্ত্রীদের ধর্ষণ করবে। এ কারণে বলছে, আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে। বিএনপি একটি বড় প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনৈতিক দল।’

আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালীর সেনবাগ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আবু সাঈদ আল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি। আমাদের আমলে বিএনপির একজন নেতাকেও দেশ থেকে পালাতে হয় নাই। একটা মানুষকেও আমরা দেশ থেকে বের করে দিই নাই। একটা মানুষকেও আমরা পালানোর জন্য হুমকি দিই নাই।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রসঙ্গ টেনে আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, ‘তাদের নেতা তারেক রহমান লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। তখন ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তখন মমতাময়ী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। শেখ হাসিনা যদি তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতেন, তাহলে তারেক রহমানকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে লন্ডনে আশ্রয় নিতে হতো না।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের প্রসঙ্গ এনে জাতীয় সংসদের এই হুইপ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলে আমরা নাকি পালিয়ে যাব। আরে বেটা, এ মাটির গভীরে আওয়ামী লীগের শিকড় পোঁতা। এ দেশের জনগণের মধ্যে আওয়ামী লীগের জন্ম, কৃষকের লাঙল ফলা থেকে, কাস্তে থেকে, শ্রমিকের ঘাম, হাতুড়ি থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম। কোনো জেনারেলের পকেট থেকে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে জন্মগ্রহণ করে নাই। এই আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালাবে এ কল্পনা তোরা কীভাবে করতে পারিস?’

এর আগে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও শওকত হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, জেলা আওয়ামী লীগের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন ও সহিদ উল্যাহ খান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, সেনবাগ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ চৌধুরী প্রমুখ।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি করা হয় নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে।