কুষ্টিয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন–লড়াইয়ে তিন ভাইসহ ১৭ জন

কুষ্টিয়া জেলার মানচিত্র

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ১৭ জন। তাঁরা সবাই এই আসনে নৌকা প্রতীক পেতে লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য যেমন রয়েছেন, সাবেক সংসদ সদস্যের তিন সন্তানও আছেন। জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি আইনজীবী, সাবেক আমলারাও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

খুলনা বিভাগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির জন্য আওয়ামী লীগের গঠিত কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. হাসান মেহেদী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জেলার ৪টি আসনে ৪০ জন নেতা-কর্মী ও সমর্থক মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তার মধ্যে সর্বোচ্চ কুষ্টিয়া-১ আসনে ১৭ জন রয়েছেন। সব কটি ফরম মনোনয়ন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।

দলীয় সূত্র বলছে, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় উপজেলা দৌলতপুর। এই উপজেলায় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। তাই মনোনয়নও চেয়েছেন বেশিসংখ্যক। সর্বোচ্চসংখ্যক মনোনয়ন চাওয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা। কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন, সেই আলোচনা চলছে চায়ের দোকান থেকে সর্বত্র। তবে সাধারণ কর্মীদের প্রত্যাশা, যাঁরা এলাকায় থাকেন এবং বিপদে-আপদে পাশে পান—এমন নেতাকে যেন নির্বাচন করা হয়।

নৌকার টিকিট পেতে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সরওয়ার জাহান, সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের তিন সন্তান নাজমুল হুদা, আরিফ আহমেদ ও এজাজ আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী ও তাঁর ভাই বুলবুল আহমেদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য কলেজশিক্ষক মোফাজ্জেল হক, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাদিকুজ্জামান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুল আসকার, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আনছার আলী খান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তারিক আল মামুন, আবদুল জলিল ও আহসান হাবিব।

এই ১৭ জনই নিজেদের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান বলেন, ‘নৌকা প্রতীক আবারও পাব ইনশা আল্লাহ। নেত্রী অবশ্যই দেবেন।’ সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূল রাজনীতিতে সব এলাকার কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। তৃণমূলকে মূল্যায়ন করলে নেত্রী অবশ্যই মনোনয়ন দেবেন।’

কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তারিক আল মামুন বলেন, ‘দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে রাজনীতি করছি। দলের দুঃসময়ে মাঠে থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম। তরুণ নেতৃত্ব দিতে আশা করছি মূল্যায়িত হব। দলের সভানেত্রী নিরাশ করবেন না।’