চন্দনা কমিউটার ট্রেন থামিয়ে ফরিদপুরে যাত্রাবিরতির দাবি

ফরিদপুর রেলস্টেশনে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে অবস্থান নেন স্থানীয় লোকজন। আজ রোববার ভোরে ফরিদপুর রেলস্টেশনেছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবিতে চন্দনা কমিউটার ট্রেন থামিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আজ রোববার ভোরে রেলস্টেশনের ওপর অবস্থান নিয়ে তাঁরা ট্রেনটি থামান। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, বিক্ষুব্ধ লোকজন ও রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে আজ রোববার থেকে বাণিজ্যিকভাবে নতুন করে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়। তবে ট্রেন দুটির ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো যাত্রাবিরতি রাখা না হয় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তাই ফরিদপুর রেলস্টেশন যাত্রাবিরতি দাবিতে আজ ভোরে স্টেশনে রেললাইনের ওপর অবস্থান নেন তাঁরা। এতে ঢাকাগামী চন্দনা কমিউটার ট্রেনটি স্টেশনে আটকা পড়ে। এ সময় চন্দনা কমিউটার ট্রেনের পরিচালক মহিবুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ এ বিষয়ে আজ সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসেন। এ ঘটনায় আজ ভোর ৫টা ৩৯ মিনিট থেকে ৫টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত ১৩ মিনিট ট্রেনটি আটকে ছিল।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বলেন, বর্তমান সরকারের সাফল্যের আরেকটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার সঙ্গে নতুন দুটি কমিউটার ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ট্রেন দুটি ফরিদপুরের বুকের ওপর দিয়ে গেলেও ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো যাত্রাবিরতি রাখা হয়নি। এতে ফরিদপুরের যাত্রীরা বঞ্চিত হয়েছেন। তাই যাত্রাবিরতির দাবিতে তাঁরা অবস্থান ও মানববন্ধন করেছেন।

ফরিদপুর রেলস্টেশনের মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে ফরিদপুর রেলস্টেশনে ট্রেনটি থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা শান্ত ও সহনশীল ছিলেন। পরে রেলওয়ে পুলিশ ও ট্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে প্রতিবাদকারীদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। সেই অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক উদ্যোগ নিলেই এই সমস্যা সমাধান হবে।