লক্ষ্মীপুরে ৩১ প্রার্থীর ২৩ জনই জামানত হারাচ্ছেন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনপ্রতীকী ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর জেলার ৪টি আসনের ২৩ প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। আসনগুলোতে এবার প্রার্থী হয়েছেন ৩১ জন। এর মধ্যে বিজয়ী প্রার্থীসহ আটজন প্রার্থীর জামানত রয়েছে।

যেসব আসনে মূল প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের শক্ত স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, সেখানে তিনজন প্রার্থীর জামানত টিকেছে। নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী যদি না পান, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হয়েছেন ছয়জন। ভোটের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আনোয়ার হোসেন খান পেয়েছেন ৪০ হাজার ৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা ঈগল প্রতীকের হাবিবুর রহমান পবন পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৫৬ ভোট। বাকি চার প্রার্থীর কেউই হাজারের কাছাকাছিও ভোট পাননি।

জেলায় এবার সবচেয়ে বেশি প্রার্থী হয়েছে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনে। আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি ছাড়া আরও আটটি রাজনৈতিক দল এ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সব মিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ জন। ভোটের ফলাফলে ১২ প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীকে ৯ হাজার ২৮ ভোট পেয়েছেন। ফলে সংরক্ষিত নারী এ সংসদ সদস্য জামানত হারাচ্ছেন।

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে চার প্রার্থী জামানত হারাবেন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু ভোট পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৯৩। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ সাত্তার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬২৮ ভোট।

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে প্রার্থী ছিলেন ছয়জন। তাঁদের মধ্যে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৭২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের মোশারফ হোসেন নৌকা প্রতীকে ৩৩ হাজার ৮১০ ভোট পান। এ আসনে তিনজন প্রার্থী তাঁদের জামানত হারাচ্ছেন।